আজকের এই দিনে আজকে থেকে ৮৩৩ বছর পূর্বে ১১৮৭ সালের ২রা অক্টোবর, ৫৮৩ হিজরীর ২৭ রজব শুক্রবার। সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবীর নেতৃত্বে মুসলিমদের প্রথম কিবলা মাসজীদুল আকসা ও পবিত্র শহর আল-কুদস বিজয় হয়।
আধুনিক বিশ্বে যে ভূখন্ডটি অবৈধ রাষ্ট্র “ইসরাইল” দখল করে আছে তা সম্পূর্ণই ফিলিস্তিনের ভূমি। আজকে যে শহরকে জেরুজালেম নামে বিকৃত করেছে এটিই সেই পবিত্র ভূমি যাকে ক্রুশেডরদের দখল থেকে মুক্ত করতে সুলতান সালাউদ্দিন আইউয়ুবীর নেতৃত্বে আল্লাহর এক একজন সৈনিক সেখানে নিজ নিজ দেহের রক্তের নজরানা পেশ করেছিলো।

এরপূর্বে বর্তমান আলেসৌদ, আরব আমিরাত ও বাহরাইনের মত তাদের পূর্বসূরি কিছু নামিধারি মুসলিম শাসকদের গাদ্দার চরিত্রের ফলে ক্রুসেডাররা ১০৯৯ সালের ১৫ ই জুলাই মোতাবেক ৪৯২ হিজরীর ২৩শে শাবান বাই়তুল মুকাদ্দিস দখল করে নিয়ে মুসলিমদের গণহ্যা করে। দীর্ঘ ৯০ বছর পরে সুলতান সালাউদ্দিন আইউয়ুবী তা কাফেরদের দখল মুক্ত করেন।

আলে-সৌদ, আরব আমিরাত ও বাহরাইনের মত পশ্চিমাদের বসানো কিছু নামিধারি মুসলিম মুসলিম বাদশাদের সীমাহীন গাদ্দারী ও তাদের টাকায় পরিচালিত গোপন মিশন মুসলিম বিভাজন কর্মসূচিতে লিপ্ত র‍্যান্ড শায়েখদের (কথিত আহলে হাদীসদের) তৈরিকরা ফাদে পতিত মুসলিমদের অনৈক্যের কারনে গত ৫৩ বছর ধরে বাইতুল মুকাদ্দাস কাফেরদের দখলে রয়েছে…..

আজ নুরউদ্দিন জেনগির সেই ঐতিহাসিক বাণীর কথা বার বার মনে পরে যা কিনা প্রায় ৮৫০ বছর পূর্বে তিনি সোবক দূর্গ বিজয়ের সময় জাতির এক মহাবীরকে বিদায়ের মুহুর্তে বলেছিলেন।
তার সেই মহান বানী–
“ইসলামের পতাকা উর্ধ্বে তুলে ধরার জন্য প্রতিযুগে এক জন করে সালাহ উদ্দিন আল আয়ুবীর দরকার হবে।
এখন বাইতুল মুকাদ্দাস ও পবিত্র ভূমিকে সুলতান আইয়ুবীর সেই অশ্রুই আল্লাহর মদদ এনে দিতেপারে যা তিনি মসজিদে আকসায় ঝরিয়েছিলেন।

আমরা অপেক্ষা করছি একজন মহান সিপাহ সালারের যে কিনা সালাহ উদ্দীন আয়ুবীর মতো ইসলামের পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা ও আমলে পরিপূর্ণ এক কাফেলা নিয়ে আবার প্রথম কিবলাকে মুক্ত করবে।
ফিলিস্তিনের ভুমিকে পূণরুদ্ধার করবেন ও সকল মুসলিমদেরকে এক পতাকাতলে নিয়ে আসবেন।
ইংশা আল্লাহ সেদিন হয়তো বেশী দূরে নয়। আমরা সেদিনের প্রত্যাশায়।