হুজুরে আক্রাম (ছঃ) ইরশাদ করেন “আমি আল−াহ্র দরবারে এই আশা
পোষণ করি যে, ‘আশুরার’ রোজা উহার পূর্ববর্তী বৎসরের সকল (ছগীরা)
গুনাহের ‘কাফ্ফারা’ স্বরূপ হইবে’ অর্থাৎ ইহার বরকতে পূর্ববর্তী বছরের
সমস্ত ছগীরা গুনাহ্ মাফ হইয়া যাইবে।’’ [মুসলিম শরীফ]
বর্ণিত আছে, রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার পূর্বে আশুরার তারিখে রোজা
রাখা ফরজ ছিল। পরে রমজানের রোজা ফরজ হয়। তারপর কেহ কেহ (নফল
রোজা হিসাবে) আশুরার রোজা রাখিল, আবার কেহ-বা রাখিল না। [বোখারী,
মুসলিম ও তিরমিজী শরীফ]
❑ হযরত রাসূলুল−াহ্ (ছঃ) বলেন “যেই ব্যক্তি আশুরার তারিখে নিজের
পরিবারবর্গের খাওয়াÑদাওয়ার খাতে অন্য সময়ের তুলনায় অধিক পয়সা ব্যয়
করিবে, আল−াহ্ তায়ালা সারা বৎসর তাহাকে অধিক রিজিক দান করিবেন।’’
[মিরকাত শারহে মেশ্কাত, রযীন ও বায়হাকী শরীফ]
❑ হযরত রাসূলুল−াহ্ বলিয়াছেন ‘‘কোনও মু’মীন ব্যক্তি যদি সারা জগত
পরিমাণ স্বর্ণ ও আল−াহ্র রাস্তায় খরচ করে, তথাপিও সে ‘আশুরার’ দিনে ইবাদাত
করার সমান ছাওয়াব পাইবে না। যেই ব্যক্তি এই দিনে রোজা রাখে, তাহার জন্য
বেহেশতের আটটি দরজা খুলিয়া দেওয়া হইবে; যে কোন দরজা দিয়া সে জানড়বাতে
প্রবেশ করিতে পারিবে।’’