বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
প্রেক্ষাপট ও প্রতিষ্ঠাকাল।ঃ-
পথভ্রান্ত, মানবতা বিবর্জিত, মমতাশুন্য আমাদের এ সমাজে সদ্য-ভুমিষ্ট নিষ্পাপ পথশিশু যথার্থ প্রতিপালনের অভাবে কিংবা ধর্মীয় মূল্যবোধ শিক্ষাদানের অভাবে কালক্রমে একজন প্রলংকারী দুর্ধর্ষ ত্রাসে পরিনত হয়। দেশ কিংবা বিশ্বখ্যাত শিক্ষানিকেতন বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, বুয়েটের মত প্রতিষ্ঠানে পড়েও ইসলামের সুমহান শিক্ষার অভাবে নেশাগ্রস্ত মাতাল হয়ে পরে থাকে একটি শিক্ষার্থী, মদ্যপ মেয়ের হাতে জন্মদাতা-দাত্রীর প্রান হরনের ঘটনা কারও অজানা নয়। রুটি-রুজির অভাবে মানুষ অন্যায়ের পথকে উপার্যনের পাথেয় করে নেয়, অসহায় মানুষ শিক্ষা, চিকিৎসা, খাদ্য, বাসস্থানের অভাবে বিপর্যাস্ত অবস্থায় দিনাতিপাত করে। এমন উপমাসম অন্ধকারাচ্ছন্ন সমাজে আলো উদ্ভাসিত করার মহান দ্বায়িত্ব নিয়ে মরহুম মোজাদ্দেদ “হযরত হাতেম আলী (রহঃ) আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। লড়ে গেছেন জুলুমবাজ, ধর্মহীন, ধর্মদ্বেষী, ধর্ম-ব্যাবসায়ীদের বিরুদ্ধে। সংগ্রাম করেছেন ইসলামের আমলি মাছালার অর্ধাংশ এবং সমগ্র কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ মাসআলা- মুসলমানদের থেকে বিলুপ্ত ইলমে তাছাওউফের ফরজ শিক্ষাকে মানব সমাজে প্রচারের জন্য। এবারে শুরু হল বাহাস,এক দুই নয় হাজারো হাজারো বাহাস করে কোরআন,হাদীস,ইজমা,কিয়াস ও অতীত যুগের নায়বে রাসূলদের কিতাবের অকাট্য দলীলের মাধ্যমে ইলমে তাছওউফের ফরজিয়াতের বিষয়টি প্রমান করেন তিনি। দ্বীন শিক্ষার জন্য হাদী / ধর্মশিক্ষক (পীর) থেকে শিক্ষা গ্রহন যে জরুরী সে ক্ষেত্রে যে কেউ কামেল আবার কেউ নাকেছও অছে। কোরআন, হাদীস, ইজমা, কিয়াস ও ফতওয়ার কিতাবের মাধ্যমে তা তিনি সমাজের কাছে স্পষ্ট করেন। আর তিনি রেখে গেছেন মানবজাতীর পথের পাথেয় বেশ কিছু মহামূল্যবান কিতাব যা পূর্নাঙ্গ ইসলাম শিক্ষার আলোকবর্তিকা।
১৯৪৭ এর দেশ-বিভাজনে আগে, পূর্ব-পশ্চিম বাংলা এবং দেশÑবিভাজনের পরে বাংলার উত্তর প্রান্তর গাড়ো পাহাড় থেকে শুরু করে দক্ষিন প্রান্তর কুয়াকাটা- বঙ্গপ সাগর পর্যন্ত হাজারো ক্রোশ পায়ে হেটে ইসলাম প্রচারে দিন-রাত হাড়ভাংগা পরিশ্রম করেছেন এই প্রচারনিবিষ্ট লোকটি। আর নিজে আজীবন রয়েগেছেন প্রচারনার অন্তরালে।
বর্তান জমানার হাদী মরহুমের উত্তরসূরী হযরত মাওঃ শাহ্ মোঃ আব্দুল ওয়াহিদ সাহেব একদা-পথশিশুদের বখে যাওয়া, সুশিক্ষা বঞ্চিতদের দীর্ঘ মহরা, চিকিৎসা বঞ্চিতদের মৃত্যু-র্যালী, অনাথ – এতিম-অসহায়দের যথাযোগ্য অধীকারহীনতা, কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার করুন অহাজারী ইত্যাদি সমস্যা সঙ্কুল সময়ে এর সমাধান কল্পে ও মরহুম মোজাদ্দেদে আযম “হযরত মাওলানা হাতেম আলী (রহঃ)” এর সমাজের এসলাহের আজীবন সংগ্রাম সম্পর্কে আলোচনা করত সম্পূর্ন অরাজনৈতিক ও জনসেবামূলক একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে আর্ত মানবতার সেবা ও পুর্নঙ্গদ্বীন প্রচার প্রসারে আত্ম নিয়োগ করার জন্য কিছু খালেছ পূর্নাঙ্গদ্বীন শিক্ষার্থীকে নির্দেশ দেন। কার্যক্রমকে এগিয়ে নেয়ার জন্য দোয়া-পত্র লিখে দেন মরহুমের অন্য উত্তরসূরী যামানার হাদী হযরত মাওঃ শাহ্্ মোঃ আব্দুশ শাকুর সাহেব।
তারই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের বরিশাল জেলাস্থ বাকেরগঞ্জ থানাধীন দুধল-এ মরহুম মোজাদ্দেদের প্রচেষ্টায় ১৯২১ সনে প্রতিষ্ঠিত দুধল ইসলামিয়া মাদ্রসায় গত ৮ ই নভে¤^র ২০১২ইং সনে যাত্রা শুরু করে “হযরত হাতেম আলী (রহঃ) ফাউন্ডেশন (HARF)”
মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ-
আর্ত ও পীড়িত মানবতার কল্যান এবং পূর্নাঙ্গ দ্বীন প্রচার-প্রসারের মাধ্যমে মহান রব্বুল আলামীন ও তার রাসুল (সঃ) এর সন্তুষ্টি অর্জন করা।
কর্মসূচি সমূহঃ-
১। মোজাদ্দেদে আ’যম হযরত মাওঃ মোঃ হাতেম আলী (রহঃ) এর জীবনী বস্তুনিষ্ঠভাবে প্রকাশ এবং বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আন্তর্যাতিকভাবে তার সীকৃতি লাভ করা।
২। মোজাদ্দেদে আ’যমের জীবনীর উপরে জাতীয় এবং পর্যায়ক্রমে আন্তর্যাতিক পর্যায়ে রচনা প্রতিযোগীতার ব্যাবস্থা করা।
৩। মোযাদ্দেদে আ’যমের নামে বিভিন্ন বিষয়ে অবদানের জন্য “হযরত হাতেম আলী (রহঃ) পুরুস্কার” প্রবর্তন।
৪। ফাউন্ডেশনের নামে ওয়েব সাইট এর মাধ্যমে মোজাদ্দেদে আ’যমের জীবনী ও তার লিখিত সকল বই বাংলা, ইংরেজী, আরবী ও বিশ্বের অন্যান্য ভাষায় বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়া। এছাড়াও ওয়াজ-মাহফিল, হামদ-নাত, ইসলামী ক্বাসীদা ও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্যের মাধ্যমে ওয়েবসাইটটি যুগোপযোগী করে তোলা।
৫। নির্ভরযোগ্য ফতওয়ার কিতাব সমূহকে বাংলা, ইংরেজী ও আরবী ভাষায় অনুবাদ করে অনুবাদ গ্রন্থ প্রকাশ করা।
৬। পূর্নাঙ্গদ্বীন প্রচার-প্রসার লক্ষ্যে “প্রকাশনী” প্রতিষ্ঠা করা।
৭। ফিকাহ বিষয়ক সকল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য “আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) গ্রুপ” গঠন করা।
৮। গরীব ও অসহায়দের ফ্রি চিকিৎসা কার্যক্রম (এ্যালোপ্যাথিক ও হোমিওপ্যাথিক) পরিচালনার “হাকীমুল উম্মাহ্্ গ্রুপ” গঠন করা।
৯। পূর্নাঙ্গদ্বীনের বিশ্ব অভিযানকল্পে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় ফাউন্ডেশনের কার্যালয় খোলা এবং পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দেয়া।
১০। অনাথ, এতিম ও অসহায়দেরকে পর্যায়ক্রমিক ভাবে তুলে আনা এবং পুনর্বাসন ও সুশিক্ষার ব্যাবস্থা করে দুঃখীমুক্ত একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ে তোলা।
১১। গরীব-ধনী, সাদা-কালো, উচু-নীচু বিভেদ দুর করে একটি ইসলামী মূল্যবোধের সমাজ গঠন করা।
১২। “আনসার গ্রুপ”-এর মাধ্যমে অসহায় শিশুদের পিতা-মাতার স্নেহে লালন -পালন করা।
১৩। পূর্নাঙ্গ দ্বীনের বিশ্ব অভিযানকল্পে বাংলাদেশ
ও বিভিন্ন স্থানে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে মাদ্রাসা, মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে এর মাধ্যমে মুসলিম ছেলে-মেয়েদের ইলমি ও আমলি আলেম গঠন ও তার পাশাপাশি ধার্মিক ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারসহ জাতীর যোগ্য কর্নধর হিসেবে গড়ে তোলা।
১৪। মসজিদ প্রতিষ্ঠা এবং মসজিদ ও মাদ্রাসা ভিত্তিক শিশু ও গনশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা।
১৫। বেসরকারী এবং বেতন বঞ্চিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ফাউন্ডেশনের আওতায় আনা।
১৬। আগামী সল্প সময়ের মধ্যে ইন্টারনেটে আন্তর্যাতিক পত্রিকা খোলা।
১৭। সঠিকভাবে যাকাত প্রদানের জন্য বিশেষ পরিদর্শক কমিটি তথা “ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ (রহঃ)গ্রুপ” গঠন করা। যারা বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে যাকাত পাওয়ার উপযুক্তদের ( কোরআনে বর্নিত ৮ দল লোক) তালিকা করবে এবং নির্দিষ্ট সময়ে যাতে তাদের হাতে যাকাতের অর্থ পৌছে তার ব্যাবস্থা করবে।
১৮। ইসলামী সার্ংস্কৃতি চর্চার জন্য গঠন করা হয়েছে “হাসান বিন সাবেত আল আনসারী (রাঃ) গ্রুপ”।
এছাড়াও জনসেবা ও পূর্নাঙ্গদ্বীন প্রচার প্রসারে আরও বিভিন্ন কর্মসূচি ও পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। তাই বিস্তারিত জানার জন্য সংগ্রহ করুন “আমাদের চিন্তাধারা” শীর্ষকবই।
সর্বস্তরের মুসলমান ভাইদের প্রতি অনুরোধঃ-
দল-মত নির্বিশেষে পূর্নাঙ্গদ্বীনের বিশ্ব অভিযানে অংশিদারী হয়ে এবং অসহায়দের হাত বাড়িয়ে দিয়ে সদকায়ে জারীয়ার অফুরান্ত ভান্ডারের শরীক হতে উক্ত ফাউন্ডেশনের সদস্য হয়ে এবং জানে মালে সর্বাত্মকভাবে সহযোগীতা করার জন্য এগিয়ে আসার উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।
গরীব ও অসহায় মানুষদের সহোযোগীতার জন্য ‘মোয়ামালাত ব্যাংক ’এ দান ও মান্নত করুন।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুনঃ-
www.islamicharf.org
অথবা মোবাঃ-০১৭৪৫-৯৭৪৫৪৯, ০১৭৩৬-৩৬৬৭১৬, ০১৭১৬-৫৯২৫০৩
কেন্দ্রিয় কার্যালয়ঃ-
দুধল ইসলামিয়া মাদ্রাসা, পোঃ দুধল মাদ্রাসা, উপজেলাঃ বাকেরগঞ্জ, জেলাঃ বরিশাল।