আমরা সোস্যাল মিডিয়া মারফত জানতে পেরেছি “কমান্ডো” নামক একটি সিনেমা রিলিজ হতে যাচ্ছে যাতে প্রিয় নবী (সঃ) এর সুন্নাতি পোশাককে সন্ত্রাসী পোশাক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে এবং তাওহীদের স্লোগান “নারায়ে তাকবির-আলাহু আকবারকে” সন্ত্রাসীদের স্লোগান এবং পবিত্র কালিমাকে সন্ত্রাসীদের ব্যানার দেখানো হয়েছে। যা মুসলিম উম্মাহর ইমান ও অনুভুতিতে সরাসরি আঘাত করেছে। যখন আমাদের আইন রক্ষাকারি সংস্থা গুলোর কঠোর পরিশ্রমে এদেশে স্বসস্ত্র সংগঠনের অস্তিত্ব নিশ্চিহ্ন করেছে ঠিক তখন এধরণের মিথ্যা আশ্রিত কাল্পনিক সিনেমা নির্মাণের মাধ্যমে বিদেশের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে সন্ত্রাসিদের অভয়ারণ্য দেখানোর মাধ্যমে গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে ।যা সরাসরি দেশদ্রোহীতার শামিল বলে আমরা মনেকরি।
একই সাথে এই সিনেমায় আমলদার মুসলমানদের সন্ত্রাসী হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে অথচ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও একাধিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে জোড় গলায় বলেছেন সন্ত্রাসের কোনো ধর্ম নাই, ইসলামের সাথে সন্ত্রাসের কোনো স¤পর্ক নাই। তাহলে আমাদের প্রশ্ন বার বার কেন উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে সন্ত্রাসের সাথে ইসলামকে জুড়ে দেয়া হয় ? দাড়ি ট‚পিকে সন্ত্রাসী লেবাস দেয়া হয় কেন? অথচ
হলি আর্টিজেন সহ সা¤প্রতিক সকল সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের মধ্যে কোনো মাদ্রাসার ছাত্রকে পাওয়া খুজে পাওয়া যায়নাই।
দুধল দরবার শরীফের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি এই মূহুর্তে “কমান্ডো “ সিনেমার অনুমতি বাতিল করে পরিচালক সহ এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল দেশদ্রোহীদের গ্রেফতার করে দেশ মুসলিমদের অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপণ করুন। এবং সকল সাংস্কৃতিক মঞ্চগুলোতে সুন্নতি পোশাককে নেগিটিভ হিসেবে তুলে ধরার বিরুদ্ধে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
তাওহীদি জনতার প্রতি অনুরোধ আপনারা ইসলাম বিরোধী এই সিনেমার বিরুদ্ধে ইমান রক্ষার নিমিত্তে অনলাইন ও ময়দানে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলুন । উক্ত ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আহুত সকল শান্তিপুর্ণ কর্মসূতি যার যার অবস্থান থেকে সর্বাত্মক অংশগ্রহণ ও সহযোগীতার আহবান জানাচ্ছি।