স্বাধীনতা-দিবস

জালিমের বিরুদ্ধে মাজলুমের এ মহান স্বাধীনতা দিবসে স্মরণ করছি যারা স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মত্যাগ করেছেন।

বিশেষ করে অখন্ড স্বাধীন বঙ্গভূমির সর্বশেষ স্বাধীন নবাব সিরাজুদৌলার কাছ থেকে মীর জাফর আলী খানের বিশ্বাস ঘাতকতার সুযোগে রক্তচোষা বিশ্বখুনি #ইংরেজরা পলাশির আম্র কাননে বঙ্গ স্বাধীনতার সুর্যকে গলাটিপে ধরে যে স্বাধীনতাকে খুনকরে ছিল। তা থেকে মুক্তি পেতে লাখো আলেম,সাধারণ মুসলমান ও স্বাধীনতা প্রেমীদের রক্তের স্রোত প্রথমে স্বাধীনতার ভিত্তি এনে দিয়েছিল। ১৯০৫ এর বঙ্গভঙ্গের মাধ্যমে কিন্তু এদেশের মেহনতি মানুষের রক্তচোষা জমিদার শ্রেণি কলকাতার দাদাদের ষড়যন্ত্রে ১৯১১ তে সে স্বাধীতার স্বপ্নকে খুন করার (অর্থাৎ বঙ্গভঙ্গ রদ) মাধ্যমে প্রথম আঘাত আসে। অতঃপর দেশ বিভাগের মাধ্যমে স্বাধীনতার যাত্রা গতি পেয়ে ২৩ বছরের অর্থনৈতিক,সামাজিক,মানবিক বৈষম্যকে ছিন্ন করতে ১৯৭১ এ দিনে মুক্তি সংগ্রামের চুরান্ত সূচনা হয়। যা স্বশস্ত্র সংগ্রাম ও নয় মাসের রক্তিম পথ পেড়িয়ে বহু আত্মত্যাগের মধ্যদিয়ে ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ পূণরায় বাংলার আকাশে ওঠে স্বাধীনতার পূর্ণ সূর্য।

তাই আবারো স্মরণ করছি ১৭৫৭ এর ২৩শে জুন পলাশির আম্র কানন থেকে একাত্তরের ১৬ তারিখ পর্যন্ত বাংলাকে স্বাধীন করার নিমিত্তে সকল আত্মত্যাগীদের।

স্বাধীনতা অর্জন করলেও সম্রাজ্যবাদীদের লোলুপ দৃষ্টি থেকে আজও পূর্ণ মুক্তি পায়নি প্রিয় মাতৃভূমি! যার ফলে ভারতীয় সীমান্ত হানাদারদের গুলিতে প্রতিনিয়ত সীমান্তে বেড়েই নিরস্ত্র বাংলাদেশীদের মৃত্যু মিছিল। স্বাধীনতার সুরক্ষা চাওয়ায় আবরারদের খুন হতে হচ্ছে নির্মমভাবে।
একই সাথে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের বেরাজালে আটকে আছে রোহিঙ্গা ইস্যু। যে ইস্যুতে বন্ধুত্বের বুলি আওড়ানো প্রতিবেশীও ছিল মিরজাফরের ভুমিকায়।

সবশেষে আজকের এই মহান দিনে কামনা করছি সকল ষড়যন্ত্র ও সম্রাজ্যবাদীদের কালো থাবা থেকে পূর্ণভাবে মুক্তিপেয়ে স্বাধীনতার পূর্ণ স্বাদ পাক প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ।

মাওঃ তানভীর হাসান আল-মাহমুদ
পরিচালক-কার্য নির্বাহী পরিষদ
হযরত হাতেম আলী রহঃ ফাউন্ডেশন (HARF)