মসজিদ বন্ধের শরয়ী হুকুম, ও আমাদের করণীয়

সংকলনেঃ মাওঃ তানভীর হাসান আল মাহমুদ
———————
(সম্পূর্ণ প্রবন্ধটি পড়ুন।)
মুসিবতের সময়ে আল্লাহ সাহায্যের জন্য পন্থা বাতিয়ে সূরা বাকারার ১৫৩ নং আয়াতে ইরশাদ করেন –
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱسۡتَعِينُواْ بِٱلصَّبۡرِ وَٱلصَّلَوٰةِۚ إِنَّ ٱللَّهَ مَعَ ٱلصَّٰبِرِينَ
হে মুমিন গন! তোমরা ধৈর্য্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চিতই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে রয়েছেন।
এ আয়াতে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে মহাবিপদে আল্লাহ তা’য়ালার কাছে সাহায্য প্রার্থনার প্রধান দুটি মাধ্যম হলো সবর এবং নামাজ। আর নামাজ আদায়ের সর্বোত্তম পদ্ধতি হলো জামায়াত। তাই এই মূহুর্তে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কুরআন-সুন্নাহ’র আলোকে মাসজীদে জামায়াতের ব্যাপারে আমাদের মূল্যায় তুলেধরছি।
 
করোনা ভাইরাস জাতীয় সংক্রামক রোগের ভয়ে সুস্থ মানুষদের জন্য  মসজিদে যাওয়া নিষিদ্ধ করে  মাসজীদ বন্ধকরে দেয়া শরীয়ত সম্মত নয়। এমন টি করার কোন নজীর ইসলামের ইতিহাসে নেই।
 
তবে যিনি উক্ত ভাইরাসে আক্রান্ত, বা যার মাঝে উক্ত ভাইরাসের প্রাথমিক কোন লক্ষণ প্রকাশিত এমন ব্যক্তিগণকে মসজিদে আসতে বারণ করা যাবে। এবং তারজন্য মাসজীদে গমন হারাম বলে বিবেচিত হবে।
কিন্তু যাদের মাঝে এ ভাইরাস নেই, তাদেরকে মসজিদে আসতে বাঁধা প্রদান করা যাবে না। মসজিদে নামায জুমআ বন্ধ করে দেয়া ধৃষ্টতা ছাড়া কিছু নয়।
وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّن مَّنَعَ مَسَاجِدَ اللَّهِ أَن يُذْكَرَ فِيهَا اسْمُهُ وَسَعَىٰ فِي خَرَابِهَا ۚ أُولَٰئِكَ مَا كَانَ لَهُمْ أَن يَدْخُلُوهَا إِلَّا خَائِفِينَ ۚ لَهُمْ فِي الدُّنْيَا خِزْيٌ وَلَهُمْ فِي الْآخِرَةِ عَذَابٌ عَظِيمٌ [٢:١١٤
যে ব্যক্তি আল্লাহর মসজিদসমূহে তাঁর নাম উচ্চারণ করতে বাধা দেয় এবং সেগুলোকে উজাড় করতে চেষ্টা করে, তার চাইতে বড় যালেম আর কে? এদের পক্ষে মসজিদসমূহে প্রবেশ করা বিধেয় নয়, অবশ্য ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায়। ওদের জন্য ইহকালে লাঞ্ছনা এবং পরকালে কঠিন শাস্তি রয়েছে। [সূরা বাকারা-১১৪]
যে কারণে অপর কোন মুসলমানের কষ্ট হয়, উক্ত ব্যক্তিদের মসজিদে আসতে বারণ করা সম্পর্কিত বর্ণনা পাওয়া যায়।
যেমন আসছে:
عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، قَالَ: أَكَلْتُ ثُومًا فَأَتَيْتُ مُصَلَّى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ سُبِقْتُ بِرَكْعَةٍ، فَلَمَّا دَخَلْتُ الْمَسْجِدَ وَجَدَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رِيحَ الثُّومِ، فَلَمَّا قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاتَهُ قَالَ: «مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ فَلَا يَقْرَبَنَّا حَتَّى يَذْهَبَ رِيحُهَا» أَوْ «رِيحُهُ» فَلَمَّا قُضِيَتِ الصَّلَاةُ جِئْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَاللَّهِ لَتُعْطِيَنِّي يَدَكَ، قَالَ: فَأَدْخَلْتُ يَدَهُ فِي كُمِّ قَمِيصِي إِلَى صَدْرِي فَإِذَا أَنَا مَعْصُوبُ الصَّدْرِ، قَالَ: «إِنَّ لَكَ عُذْرًا»
আল-মুগীরাহ ইবনু শু‘বাহ (রা:) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূন খেয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুসল্লায় সালাত পড়তে আসলাম। তখন এক রাক‘আত শেষ হয়েছে। আমি মসজিদে প্রবেশ করলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রসুনের গন্ধ পান। তিনি তাঁর সালাত শেষ করে বললেন: ‘‘যে ব্যক্তি এই গাছ (রসুন) থেকে আহার করলো, তার মুখের দুর্গন্ধ দূর হওয়ার পূর্বে সে অবশ্যই যেন আমাদের নিকট না আসে।’’ আমি সালাত শেষ করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর কসম! অবশ্যই আপনার হাতটা আমাকে দিন। মুগীরাহ (রা:) বলেন, আমি তাঁর হাত জামার ভিতর দিয়ে আমার বুক পর্যন্ত ঢোকালাম। আমার বুকে পট্টি বাঁধা ছিলো। তিনি বললেন: এটা তোমার জন্য ওজর। [সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৮২৬]
উক্ত হাদীসে পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছে, যার কারণে অন্যদের কষ্ট হয়, তাদের জামায়েতে আসতে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিরুৎসাহিত করছেন। সেই হিসেবে করোনা ভাইরাস যাদের মাঝে প্রমাণিত, বা লক্ষণ প্রকাশিত তাদের মসজিদে এবং গণজমায়েতে অংশ গ্রহণে নিষেধ করাটা যৌক্তিক। এবং তাদের মাধ্যমে মৃত্যুঝুকি তৈরিহওয়ার কারণে তাদের মাসজীদে  জামায়াতে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ বা হারাম।
তবে কোনো ব্যক্তি যদি মসজিদে গেলে কোনভাবে মৃত্যুর আশংকা করেন, তাহলে তার জন্যে মসজিদে না গিয়ে ঘরে বসে নামাজ আদায় করা জায়েজ আছে।

মরণঘাতী এ ভাইরাস আসার কারণ কি?

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ: أَقْبَلَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: ” يَا مَعْشَرَ الْمُهَاجِرِينَ خَمْسٌ إِذَا ابْتُلِيتُمْ بِهِنَّ، وَأَعُوذُ بِاللَّهِ أَنْ تُدْرِكُوهُنَّ: لَمْ تَظْهَرِ الْفَاحِشَةُ فِي قَوْمٍ قَطُّ، حَتَّى يُعْلِنُوا بِهَا، إِلَّا فَشَا فِيهِمُ الطَّاعُونُ، وَالْأَوْجَاعُ الَّتِي لَمْ تَكُنْ مَضَتْ فِي أَسْلَافِهِمُ الَّذِينَ مَضَوْا
আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের দিকে এগিয়ে এসে বলেন: হে মুহাজিরগণ! তোমরা পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। তবে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি যেন তোমরা তার সম্মুখীন না হও। যখন কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে তখন সেখানে মহামারী আকারে প্লেগরোগের প্রাদুর্ভাব হয়। তাছাড়া এমন সব ব্যাধির উদ্ভব হয়, যা পূর্বেকার লোকদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৪০১৯]
হাদীস বলছে, যখন অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়বে, তখন মহামারী ছড়িয়ে পড়বে। এমন সব রোগ আসবে, ইতোপূর্বে যে রোগ সম্পর্কে মানুষ জানতো না।
দেখুন, এ রোগের উদ্ভব চীন থেকে। যেখানে রয়েছে যৌনতা ও অশ্লীলতার ছড়াছড়ি। ভয়ানক আকার ধারণ করেছে যতগুলো রাষ্ট্রে। সবগুলো রাষ্ট্রই যৌনতা ও অশ্লীলতার দায়ে দুষ্ট। সেখান থেকেই তা বিভিন্ন জনপদে ছড়িয়ে পড়ছে। তাই আমাদের প্রথমে এসব ভয়াবহ মহামারী রোগের মূল উৎসকে বন্ধ করতে হবে।
যৌনতা ও অশ্লীলতার বিস্তৃতি বন্ধ করতে হবে। অর্ধনগ্ন বিলবোর্ড, অশ্লীল সিনেমা, সুন্দরি প্রতিযোগিতা,পর্ণগ্রাফি এবং বিশেষত যৌনপল্লিগলো স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হবে। শালীন ও ভদ্র জীবনে ফিরে আসতে হবে। পরিবার ও সমাজকে একটি সুস্থ ও শালীন জীবন এবং পরিবেশ উপহার দিতে হবে।

মসজিদে গমন ও করোনা ভাইরাস বিষয়ে আমাদের পরামর্শ

১) বাসা থেকে ওজু করে মসজিদে গমন করা। এবং ওজুতে হাত ধৌতকরার সময় হ্যান্ড ওয়াশ / সাবান ব্যবহার করা।
২) আক্রান্ত বা প্রাথমিক লক্ষণ প্রকাশিত রোগীগণ মসজিদে গমন না করা।
৩) মসজিদকে সর্বদা পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখতে সচেষ্ট থাকা। জীবাণুমুক্ত রাখতে সচেতন থাকা।
★ সম্ভব হলে প্রতি মাসজীদে স্যানিটাইজার সরবরাহ করা।
৪) অন্যের টাওয়াল, গামছা ব্যবহার পরিহার করা।
৫) মাসজীদে ঝুলানো টাওয়াল, গামছা সরিয়ে ফেলা।
★ মোসাহাফা করা থেকে বিরত থাকা  কেননা মোসাহাফা করা মুস্তাহাব তাই এটা কোনো বাধ্যতামূলক ব্যবস্থা নয়। তবে সালাম দেয়া সুন্নত সালামের প্রচলন অবশ্যই চালিয়ে যাবেন কেননা সালামের মাধ্যমে মূ’মীনের কল্যাণ কামনাকরাহয়।
৬) জুমার খুৎবা অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত করা।
৭) ফরজ নামায শেষে সুন্নতগুলো বাসায় আদায় করা। এক্ষেত্রে ইমামদের ভূমিকা পালনকরা।
৮) মসজিদে গমন করে অন্য মুসল্লিদের সাথে শারীরিক স্পর্শ এড়িয়ে চলা।
এক্ষেত্রে কাতারে মুসল্লি একজন থেকে অন্যজন কিছু দূরে অর্থাৎ বর্তমান পরিস্থিতির ওজরের জন্য ফাকা রেখে দাঁড়ানো।
৯) বেশি বেশি তওবা ইস্তিগফার করা। রব্বে কারীমের কাছে এসব আযাব থেকে মুক্তির দুআ করা।
১০) মৃত্যু একদিন হবেই। তাই মৃত্যুর ভয়ে মসজিদ ত্যাগ নয়, বরং ইবাদতে মগ্ন হয়েই মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা উচিত।
১১) পরিস্থিতি অবনতির গভীর আশংকা হলে আক্রান্ত এলাকায় প্রয়োজনে প্রতিটি জামে মাসজীদে জামায়াত কায়েম রাখার জন্য ইমাম সহ একাধিক সুস্থ মুসল্লি নির্ধারণ করে নিবে যাতে মাসজীদে জামায়াত বন্ধ না হয়।
১২/বাকিরা ঘরে বসে জামায়াতের সহিত নামাজ আদায় করবে কারণ একাধিক ব্যক্তি হলেই জামায়াতে নামাজ আদায় করা যায়।
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المختار) (1/ 661)
(قوله وأكل نحو ثوم) أي كبصل ونحوه مما له رائحة كريهة للحديث الصحيح في النهي عن قربان آكل الثوم والبصل المسجد. قال الإمام العيني في شرحه على صحيح البخاري قلت: علة النهي أذى الملائكة وأذى المسلمين ولا يختص بمسجده – عليه الصلاة والسلام -، بل الكل سواء لرواية مساجدنا بالجمع، خلافا لمن شذ ويلحق بما نص عليه في الحديث كل ما له رائحة كريهة مأكولا أو غيره، وإنما خص الثوم هنا بالذكر وفي غيره أيضا بالبصل والكراث لكثرة أكلهم لها، وكذلك ألحق بعضهم بذلك من بفيه بخر أو به جرح له رائحة، وكذلك القصاب، والسماك، والمجذوم والأبرص أولى بالإلحاق. وقال سحنون لا أرى الجمعة عليهما. واحتج بالحديث وألحق بالحديث كل من آذى الناس بلسانه، وبه أفتى ابن عمر وهو أصل في نفي كل من يتأذى به. ولا يبعد أن يعذر المعذور بأكل ما له ريح كريهة، لما في صحيح ابن حبان عن «المغيرة بن شعبة قال انتهيت إلى رسول الله – صلى الله عليه وسلم – فوجد مني ريح الثوم فقال: من أكل الثوم، فأخذت يده فأدخلتها فوجد صدري معصوبا، فقال: إن لك عذرا» وفي رواية الطبراني في الأوسط «اشتكيت صدري فأكلته» وفيه: فلم يعنفه – صلى الله عليه وسلم -، وقوله – صلى الله عليه وسلم – «وليقعد في بيته» صريح في أن أكل هذه الأشياء عذر في التخلف عن الجماعة. وأيضا هنا علتان: أذى المسلمين وأذى الملائكة؛ فبالنظر إلى الأولى يعذر في ترك الجماعة وحضور المسجد، وبالنظر إلى الثانية يعذر في ترك حضور المسجد ولو كان وحده اهـ ملخصا
أقول: كونه يعذر بذلك ينبغي تقييده بما إذا أكل ذلك بعذر أو أكل ناسيا قرب دخول وقت الصلاة لئلا يكون مباشرا لما يقطعه عن الجماعة بصنعه
تنقيح الفتاوى الحامدية (7/ 414)
قَالَ الْإِمَامُ الْعَيْنِيُّ فِي شَرْحِهِ عَلَى صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ فِي بَابِ مَا جَاءَ فِي الثُّومِ النِّيءِ وَالْبَصَلِ وَالْكُرَّاثِ قُلْتُ : الْعِلَّةُ أَذَى الْمَلَائِكَةِ وَأَذَى الْمُسْلِمِينَ فَيَخْتَصُّ النَّهْيُ بِالْمَسَاجِدِ وَمَا فِي مَعْنَاهَا وَلَا يَخْتَصُّ بِمَسْجِدِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ بَلْ الْمَسَاجِدُ كُلُّهَا سَوَاءٌ عَمَلًا بِرِوَايَةِ مَسَاجِدَنَا بِالْجَمْعِ وَشَذَّ مَنْ خَصَّهُ بِمَسْجِدِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ وَيُلْحَقُ بِمَا نَصَّ عَلَيْهِ فِي الْحَدِيثِ كُلُّ مَا لَهُ رَائِحَةٌ كَرِيهَةٌ مِنْ الْمَأْكُولَاتِ وَغَيْرِهَا وَإِنَّمَا خَصَّ الثُّومَ هُنَا بِالذِّكْرِ ، وَفِي غَيْرِهِ أَيْضًا بِالْبَصَلِ وَالْكُرَّاثِ لِكَثْرَةِ أَكْلِهِمْ لَهَا وَكَذَلِكَ أُلْحَقَ بِذَلِكَ بَعْضُهُمْ مَنْ بِفِيهِ بَخْرٌ أَوْ بِهِ جُرْحٌ لَهُ رَائِحَةٌ وَكَذَلِكَ الْقَصَّابُ ، وَالسَّمَّاكُ وَالْمَجْذُومُ وَالْأَبْرَصُ أَوْلَى بِالْإِلْحَاقِ
وَصَرَّحَ بِالْمَجْذُومِ ابْنُ بَطَّالٍ وَنَقَلَ عَنْ سَحْنُونٍ لَا أَرَى الْجُمُعَةَ عَلَيْهِمَا وَاحْتَجَّ بِالْحَدِيثِ وَأَلْحَقَ بِالْحَدِيثِ كُلَّ مَنْ آذَى النَّاسَ بِلِسَانِهِ فِي الْمَسْجِدِ وَبِهِ أَفْتَى ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ تَعَالَى عَنْهُمَا وَهُوَ أَصْلٌ فِي نَفْيِ كُلِّ مَا يَتَأَذَّى بِهِ وَلَا يَبْعُدُ أَنْ يُعْذَرَ مَنْ كَانَ مَعْذُورًا بِأَكْلِ مَا لَهُ رِيحٌ كَرِيهَةٌ لِمَا رَوَى ابْنُ حِبَّانَ فِي صَحِيحِهِ عَنْ { الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ انْتَهَيْت إلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَوَجَدَ مِنِّي رِيحَ الثُّومِ فَقَالَ : مَنْ أَكَلَ الثُّومَ ؟ قَالَ فَأَخَذْتُ يَدَهُ فَأَدْخَلْتهَا فَوَجَدَ صَدْرِي مَعْصُوبًا فَقَالَ : إنَّ لَك عُذْرًا } ، وَفِي رِوَايَةِ الطَّبَرَانِيِّ فِي الْأَوْسَطِ { اشْتَكَيْتُ صَدْرِي فَأَكَلْته } ، وَفِيهِ { فَلَمْ يُعَنِّفْهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ } . ا هـ .
وَفِيهِ مِنْ الْبَابِ الْمَذْكُورِ قَوْلُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلْيَقْعُدْ فِي بَيْتِهِ صَرِيحٌ فِي أَنَّ أَكْلَ هَذِهِ الْأَشْيَاءِ عُذْرٌ فِي التَّخَلُّفِ عَنْ الْجَمَاعَةِ وَأَيْضًا هُنَا عِلَّتَانِ إحْدَاهُمَا أَذَى الْمُسْلِمِينَ ، وَالثَّانِيَةُ أَذَى الْمَلَائِكَةِ فَبِالنَّظَرِ إلَى الْعِلَّةِ الْأُولَى يُعْذَرُ فِي تَرْكِ الْجَمَاعَةِ وَحُضُورِ الْمَسْجِدِ وَبِالنَّظَرِ إلَى الثَّانِيَةِ يُعْذَرُ فِي تَرْكِ حُضُورِ الْمَسْجِدِ وَلَوْ كَانَ وَحْدَهُ