শহীদ ওমর ফারুক

শহীদ ওমর ফারুক
নও মুসলিম ওমর ফারুক হত্যার প্রতিবাদে সরব হন।বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার মৃত তয়ারাম ত্রিপুরার ছেলে বেরন চন্দ্র ত্রিপুরা। ৬ বছর আগে ২০১৪ সালে খ্রিস্টান থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তিনি। মুসলিম হয়ে নাম পরিবর্তন করে রাখেন ওমর ফারুক। এরপর একটি মুসলিম এনজিওর মাধ্যমে ধর্মীয় বিধিবিধান শেখেন। নিজের পরিবারের অন্য সদস্যরাও ইসলাম গ্রহণ করেন। পাশাপাশি তার দাওয়াতে এলাকার আরও ১০-১২ জন মানুষ মুসলিম হন। এরপর তিনি নিজের জায়গায় একটি মসজিদ নির্মাণ করেন । এলাকায় অন্য কোনো শিক্ষিত মানুষ না থাকায় নওমুসলিম ওমর ফারুক নিজেই এই মসজিদে ইমামতি শুরু করেন। ইসলাম গ্রহণ ও বাংলাদেশের অখন্ডতায় বিশ্বাস করার কারণে অনেকদিন থেকেই নওমুসলিম ওমর ফারুককে বিদেশি মদদপুষ্ট স্থানীয় খ্রিষ্টান মিশনারি ও সন্তু লরমা সংশ্লিষ্ট পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল।
সর্বশেষ গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মসজিদে নামাজ আদায়ের পর ঘরে ফেরার পথে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। শহীদ ওমর ফারুকের কন্যার ভাষ্যমতে তাকে গুলি করার পূর্বেও দুটি অপশন থেকে একটি বাছাই করতে বলাহয়েছিল। ইসলাম ত্যাগের মাধ্যমে জীবন ভিক্ষা অথবা মৃত্যু ! তিনি যে কোনো কিছুর বিনিময়ে একমাত্র সত্য ধর্ম ইসলামকে বেছে নেন। সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে স্থান ত্যাগ করে। দুধল দরবারের পক্ষ থেকে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমরা এই হত্যাকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাই । য়ামরা বিশ্বাস করি ওমর ফারুক রহঃ জান্নাতে পারি জমালেও আমাদেরকে ইসলাম ও এদেশের সার্বভৌমত্য রক্ষার দ্বায়িত্ব প্রদান করে গিয়েছেন ; জীবনের বিনিময়ে হলেও তা রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য । প্রত্যকে ইমানের সর্ব নিæ দ্ববি থেকে শহীদ ওমর ফারুক হত্যার বিচারের দাবিতে স্বস্ব অবস্থান থেকে সোচ্চার হোন। দল-মত নির্বিশেষে পাহারি দেশোদ্রোহী বিদেশী এজেন্টদের রুখতে ঐক্যবদ্ধ হোন। পাহারি সন্ত্রাসীদের গায়ে সামান্য আচর লাগলেও যে সমস্ত কথিত বুদ্ধিজীবিদের মানবতার মায়াকান্না করতে দেখি তারা আ চুপ কেন জাতি জানতে চায় ? তাদের এই দ্বিচারিতাই দেশের সার্বভৌমত্যের বিরুদ্ধে তাদের মুখোশ উন্মুক্ত কওে দিয়েছে। তাই এই সমস্ত বিদেশী এন্টদের কার্যক্রমের উপরে নজরদারি বাড়ানোর জন্য মাননীয় সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। এদের থেকে আপমর জনতাকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছি।
সরকারের প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি যেকোনো মূল্যে শহীদ ওমর ফারুকের খুনিদের আইনের আওতায় এনে প্রকাশ্যে ফাসির মঞ্চে বা ফায়ারিং স্কয়াডে মৃত্যু দন্ড কার্যকর করুন। এটা কেবল একজন দেশ প্রেমি মুসলিম হত্যা নয় বরং স্বাধিনতা ও সংবিধানের বুকে গুলি ছোড়া হয়েছে। এই হত্যাকান্ডের বিচার করতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ পার্বত্য অঞ্চলকে আরেকটি পূর্ব তিমুর বানাবে , যা রাজনৈতিক বা ধর্মীয় কোনো বিবেচনাতেই শুভ ফল বয়ে আনবেনা।

মাওঃ তানভীর হাসান আল-মাহমুদ
পরিচালক- কার্য নির্বাহী পরিষদ
হযরত হাতেম আলী রহঃ ফাউন্ডেশন (HARF) ,(মুখপাত্র -দুধল দরবার শরীফ)
বরিশাল, বাংলাদেশ ।